আজ বুধবার, ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অন্ধকারে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা!

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের প্রায় ১০ টি শ্রেনীকক্ষে নেই আলোর ব্যবস্থা। শীতের দিন হওয়াতে জানালা বন্ধ রাখতে হচ্ছে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের। আর লাইট না থাকায় অন্ধকারেই পরীক্ষা দিচ্ছে প্রায় ২৫০ পরীক্ষার্থী।
জানা যায়, এই বছর প্রায় ৪৭৩ জন বার একাডেমি স্কুল কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। নতুন চার তলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় পরীক্ষার্থীর ২৫০ জনের মতো। এ আড়াইশ’ পরীক্ষার্থীর জন্য কোন বাতির ব্যবস্থা করেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুই রকম কথা বলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বার একাডেমি স্কুলের একটি চার তলা নতুন ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার শ্রেনী কক্ষ গুলোতে কোথাও লাইট নেই। হোল্ডার লাগানো থাকলেও তা ফাঁকা। প্রায় সবগুলো কক্ষে একই অবস্থায় দেখা গেছে। পরীক্ষার্থীদের রুমে লাইট না থাকলেও স্কুলের শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও কেরানীর কক্ষে ২টি করে লাইট জ্বলতে দেখা যায়।

পরীক্ষা দিতে আসা এক ছাত্রী বলেন, আমার রোল নাম্বার মাঝের একটি সিটে পরেছে। দু’পাশের জানালা বন্ধ থাকায় আলোর অভাবেই অন্ধকারে পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথম দিনই উপরে তাকিয়ে দেখি আমাদের কক্ষে লাইট নেই। তবে শুধু আমাদের কক্ষেই না এই ভবনে পরীক্ষা দিতে আসা আমাদের স্কুলের আরো ছাত্রীরা একই কথা বলেছেন। আলোর অভাবেই ২টি পরীক্ষা তারা দিয়েছে।
এ বিষয়ে বার একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির জানান, আমরা ১শ লাইট কিনে রেখেছি কোনো দূর্যোগ হলে এগুলো শ্রেনীকক্ষে লাগিয়ে দিবো। তিনি দাবি করেন, আমি প্রতিটি পরীক্ষায় প্রতিটি কক্ষ ঘুরে দেখেছি কোথাও আলোর অভাব নাই। আমরা আগেও এই কক্ষ গুলোতে লাইট লাগিয়েছিলাম তবে সকালে এসে লাইট আর খুঁজে পাওয়া যায় না। রাতে এই স্কুলে বখাটে ছেলেরা আড্ডা দেয়। প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, এসব লাইট চোরদের জন্যই এসব কক্ষ গুলোতে লাইট লাগানো হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, এসএসসি পরীক্ষার ২টি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে তবে আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসে নাই। আমরা কালকে সরেজমিনে গিয়ে দেখবো যদি আলোর সল্পতা থাকে তাহলে আমরা লাইটের ব্যবস্থা করতে বলে দিবো।